রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে দুই দিন ধরে দুই আঞ্চলিক গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি চলছে। এই অবস্থায় ৪০০ পর্যটক সেখানে আটকা পড়েছেন। নিরাপত্তা বিবেচনায় এখনও তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। দেশের ভূস্বর্গ খ্যাত এই পর্যটন এলাকায় ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন।বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, জেএসএস সন্তু লারমা গ্রুপ ও ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
গোলাগুলির তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার। তবে কোন দুটি দলের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।বাঘাইছড়ি সার্কেল অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান জানান, গত দুই দিন ধরে সাজেকে দুর্গম এলাকায় থেমে থেমে গোলাগুলি হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়েছি। এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ার কারণে সেখানে এখনও পুলিশ পৌঁছাতে পারেনি। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে একটি টিম উক্ত এলাকায় যাবে। এই ঘটনায় হতাহতের কোন তথ্য আমাদের হাতে নেই।
অন্যদিকে গোলাগুলি কারণে নিরাপত্তা বিবেচনায় বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৩ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বর্তমানে সাজেকে প্রায় ৪০০ পর্যটক অবস্থা করছেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরির আক্তার জানান, নিরাপত্তা বিবেচনায় সাজেকে থাকা পর্যটকদের এখনও ফিরিয়ে আনা হয়নি। তারা সেখানেই অবস্থান করছেন। তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে প্রস্তুতি চলছে। তবে সেটা কখন তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলাকা দখলে নেয়ার জন্য জেএসএস ও ইউপিডিএফের মধ্যে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে দুই দলের নেতাদের ফোন করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি।